নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে চেয়ার-টেবিল ভাংচুর ও পোষ্টার ছেঁড়ার অভিযোগ উঠেছে। এসময় হামলাকারীরা এক সমর্থককে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
এদিকে, হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী আলমগীর হোসেন টিটু। গত সোমবার (০১ নভেম্বর) মধ্যে রাতে উপজেলার ভোলাব ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পাইস্কা এলাকায় ঘটে এ হামলার ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, ভোলাব ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস) আলমগীর হোসেন টিটু ও আওয়ামীলীগ মনোনিত (নৌকা) প্রতীকের প্রার্থী অ্যাড. তায়েবুর রহমান। আলমগীর হোসেন টিটুর ৭নং ওয়ার্ডের পাইস্কা একটি ক্যাম্প রয়েছে। ওই ক্যাম্পে রাত ১২টার দিকে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর সমর্থক চারিতালুক গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে জহিরুল ইসলাম ও রুহুল আমিনের ছেলে আবুল বাশারের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জনের একদল দেশীয় ও ধারালো অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায়। এসময় ক্যাম্পে থাকা একটি টেলিভিশন লুটে নেয়। এক পর্যায়ে প্রায় দুই শতাধীক প্লাষ্টিকের চেয়ার ভাংচুর করে। ক্যাম্পে থাকা পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলে। মানসুর নামের এক সমর্থককে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। এছাড়া মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি করে। খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন।
এদিকে, মঙ্গলবার (০২ নভেম্বর) দুপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলমগীর হোসেন টিটু এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমি বিশ্বাস করি ভোলাব ইউনিয়নে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে আমি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবো। তবে, আমার প্রতিপক্ষ নৌকা প্রতিকের প্রার্থী বহিরাগতদের নিয়ে প্রতিদিনই হোন্ডা শোডাউন ও নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা করে সাধারন মানুষের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে। এতে করে ১১ নভেম্বর নির্বাচন সুষ্ঠ হবে কিনা এ নিয়ে সাধারন মানুষের মাঝে সঙ্কা জাগছে। এছাড়া এ ইউনিয়নে সব গুলো কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। এসব ব্যাপারে আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। নৌকা প্রতিকের প্রার্থী অ্যাড. তায়েবুর রহমান বলেন, নির্বাচনকে ব্যাপকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করতে তারা নিজেরাই একটি পক্ষ দিয়ে এমন কাজ করাচ্ছে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
Facebook page/rupgonjbarta24