রূপগঞ্জে এক প্রবাসীর অর্থায়নে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণচট্টগ্রামের পটিয়ার হুইপপুত্র নাজমুল হক চৌধুরী ওরফে শারুন চৌধুরি তার নানাবিধ কর্মকান্ডের জন্য বিতর্কিত হয়ে উঠেন।হুইপপুত্র রূপগঞ্জে এক প্রবাসীর অর্থায়নে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণচট্টগ্রামের পটিয়ার হুইপপুত্র নাজমুল হক চৌধুরী ওরফে শারুন চৌধুরি তার নানাবিধ কর্মকান্ডের জন্য বিতর্কিত হয়ে উঠেন।
বহুল সমালোচিত ঘটনা চট্টগ্রাম আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক দিদারুল হক চৌধুরিকে হুইপপুত্র শারুন চৌধুরি অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠে।
ঘটনার সত্যতা প্রমান হিসেব কল রেকর্ডের অডিও গনমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সরকারদলীয় সিনিয়র নেতাদের সাথে এরুপ আচরনের মাধ্যমে হুইপ পুত্র শারুন তার ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ করেন।এলাকায় নানাবিধ অপকর্মে জড়িত হয়েও ক্ষমতার দাপটে থেকেছেন ধরাছোয়ার বাহিরে।
এরপর ই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্টের মাধ্যমে তুমুল বিতর্কিত হোন এই হুইপপুত্র শারুন।
ভিডিওতে দেখাযায় হুইপপুত্র শারুন Ak47 দিয়ে একেরপর এক ধংসাত্বক গুলি করেই যাচ্ছেন।
হুইপপুত্রের এমন কর্মকান্ডে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠে।কিন্তু দেশবাসীর এমন নিন্দায় শারুন চৌধুরির কোন প্রতিক্রিয়াই পরিলক্ষিত হয়নি।
২০১৯ সালের ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করায় শামসুল হক চৌধুরি ব্যাপক সমালোচিত হয়।। চট্টগ্রাম আবাহনী ক্রীড়াচক্রের জুয়ার বোর্ড থেকে শামসুল হক চৌধুরী পাঁচ বছরে ১৮০ কোটি টাকা নিয়েছেন বলে সাইফ আমিন নামে এক পুলিশ কর্মকর্তার ফেইসবুক পোস্টের পর তা নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিলো। এ ঘটনায় ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়। আর ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে মানহানির অভিযোগ এনে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাইবার ট্রাইব্যুনালে একটি
মামলাও করেন শামসুল হক চৌধুরী।
ক্ষমতার দাপটের কাছে পুলিশের সততা ধুলোয় মিশে যায়।
এছাড়াও হুইপ শামসুল হক চৌধুরির প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় তার বাড়ির বাবুর্চিকে মালিক সাজিয়ে অন্যর জমি জালিয়াতি করিয়ে জমি দখল করে নেয়।এ ঘটনা জনসাধারণের কাছে ছড়িয়ে পড়লে মানুষের মাঝে তীব্রক্ষোভের জন্ম নেয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কয়েকজন তাদের মতামত প্রকাশ করেন, তাদের কমেন্ট থেকে বার বার ই একটা কথা উঠে আসে যে,চট্টগ্রামে হুইপ ও হুইপপুত্রের এমন আরো অনেক নির্যাতনের শিকার ও ভুক্তভোগী মানুষ রয়েছে যারা কিনা হুইপপুত্রের দলীয় ক্ষমতার কাছে কোনঠাসা হয়ে আছে।অনেকে প্রতিবাদ করতে চাইলে তাদের মিথ্যা মামলায় সাজিয়ে ফাসানো হয় অনেককে জেলে ও যেতে হয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এলাকাবাসীর দাবি তাদের বাপ ছেলের এই দলীয় নির্যাতন বন্ধ করার জন্য তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে চট্টগ্রাম বাসীকে জেলজুলুমের হাত থেকে মুক্ত করবে।