রূপগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সামিয়া(৯)কে অপহরনের পর ধর্ষন করে হত্যা করেছে এক পাষণ্ড ঘাতক খুনি মোশারফের ফাঁসি কার্যকর করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
৩১ অক্টোবর রবিবার সকালে উপজেলার রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে ও পরবর্তীতে রূপগঞ্জ থানা প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন রূপগঞ্জ উপজেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও রূপগঞ্জ উপজেলা গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সামিয়া(৯)কে অপহরনের পর ধর্ষন করে হত্যা করেছে এক পাষণ্ড ঘাতক খুনি মোশারফের ফাঁসি কার্যকর করে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। বক্তারা আরো বলেন আমাদের প্রত্যেকের ঘরেই মা বোন রয়েছে আমাদের প্রত্যেকটি ফ্যামিলি নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছে।তাই রূপগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে আবেদন এ ধরনের নির্মম নির্যাতন ও হত্যা কান্ডের ঘটনা যাতে না ঘটে সেই দিকে আপনারা লক্ষ্য রাখবেন।
এ সময় রূপগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত হুমায়ূন কবির বলেন-আমরা এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের পর আসামি কে গ্ৰেফতার করে জবানবন্দি নেই। পরে তার জবানবন্দিতে তার দোষ শিকার পরে আসামী মোশারফে কে নিয়ে ভিকটিম উদ্ধার করি। পরবর্তীতে মামলার সকল কার্যক্রম শেষ করে আদালতে পাঠানো হয়।আসামীর ডি এন এ নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে। ডিএনএ রিপোর্ট আসার পর আমরা চার্জশিট দিয়ে দিব।আমরাও চাই আদালত যেন সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি রায় প্রকাশ করে।
উল্লেখ্য গত ২৩ অক্টোবর শনিবার উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার কেন্দুয়া পাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে অভিযুক্ত মোশারফ মিয়া(৪৫) নিহত সামিয়ার নানা সম্পর্কীয় আত্নীয়। সে সূত্রে বিভিন্ন সময় নিহতের বাড়িতে যাতায়াত ছিলো অভিযুক্তের। গত ২২ অক্টোবর শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে সামিয়াকে নাস্তা খাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় মোশারফ।পরে দুপুর হয়ে গেলেও বাড়িতে না ফেরায় বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করা হয়। এ সময় মোশাররফের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে সামিয়াকে অপহরন বিষয়ে একই দিন রাতে মোশারফকে অভিযুক্ত করে রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। রূপগঞ্জ থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) সহিদুল ইসলাম জানান, সংশ্লিষ্ট অভিযোগপত্র পাওয়ার পর স্থানীয়দের সহযোগীতায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই । পরে থানা হেফাজতে এনে মোশাররফকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে সে। পরে তার দেয়া তথ্যে ২৩ অক্টোবর শনিবার বিকালে উপজেলার জাঙ্গীর কবরস্থান এলাকার আনন্দ হাউজিংএর বালির মাঠ থেকে সামিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহটির ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, শিশু সামিহাকে অপহরণ করেছে মর্মে একটি অভিযোগ পেয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ দ্রুত আসামীকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান পরিচালনা করি। এ সময় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। পরে ওই অভিযুক্তের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জাঙ্গীর এলাকার বালির মাঠের কাঁশবন থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্তকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করার পর আরো কোন ব্যক্তি জড়িত থাকলে তাকেও দ্রুত আইনের আঁওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে নিহতের মা পারুল বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।