রূপগঞ্জ বার্তা ডেস্কঃ
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী দখল করে গড়ে ওঠা রূপগঞ্জ উপজেলার বেলদী বাজারের ২টি ৩তলা ভবন, ৭টি দোতলা ভবন, ৬টি একতলা ভবনসহ অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ ঘোড়াশাল নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এসময় নদী দখল করে নির্মিত ২ টি ৩ তলা ভবন, ৭টি পাকা দোতলা ভবন, ৬ টি একতলা ভবন, ৭টি ইটভাটার নদী দখলে করে গড়ে তোলা স্থাপনা, একটি ব্যাটারী কারখানার দেয়ালসহ অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত একটি ভেকু (এক্সাভেটর) দিয়ে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শোভন রাংসার নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযানটি পরিচালিত হয়। সার্বিক তত্বাবধায়নে ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ ঘোড়াশাল নদী বন্দরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক নূর হোসেন স্বপন।
এসময় বিআইডব্লিউটিএর মেডিকেল অফিসার ডা: ফারুক, সার্ভেয়ার মো: ইয়াসিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ, উচ্ছেদকর্মী উপস্থিত ছিল।
এদিকে বেলদী বাজার এলাকায় নদী দখল করে পাকা ভবনগুলো গুড়িয়ে দেয়ার সময় নদীর তীরে ভীড় করে অসংখ্য দর্শনার্থী।
বিআইডব্লিউটিএ’র নদী দখলমুক্ত অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকাবাসী। স্থানীয়রা বলছেন নদী দখলকারীদের কারণে নারায়ণগঞ্জের প্রাণ শীতলক্ষ্যা ক্রমশ সংকীর্ণ হয়ে পড়ছে। যে কারণে নদী দখলমুক্ত অভিযান আরো বেগবান করা প্রয়োজন বলে তারা মনে করেন।
বিআইডব্লিউটিএ ঘোড়াশাল নদী বন্দরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক নূর হোসেন স্বপন জানান, বৃহস্পতিবার উচ্ছেদ অভিযানের দ্বিতীয় দিনে ২ টি ৩ তলা ভবন, ৭টি পাকা দোতলা ভবন, ৬ টি একতলা ভবন, ৭টি ইটভাটার নদী দখলে করে গড়ে তোলা স্থাপনা, একটি ব্যাটারী কারখানার দেয়ালসহ অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা ইতিপূর্বে অবৈধ দখলদারদের নোটিশ দিলেও তারা কোন ধরনের কর্ণপাত করেনি।
যে কারনে গত ২ দিনে আমরা প্রায় একশত অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছি। নদী দখলদাররা যত প্রভাবশালী হোক তাদের ছাড় নেই। আমাদের উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।