রূপগঞ্জ বার্তা ডেস্কঃ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় পত্রিকা হকার ফারুকের বসতবাড়িতে হামলা,ভাংচুর ও লুটপাতের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে গুরুতর আহত ৪ জন হয়েছেন।
রবিবার (১৫ মে) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার হাটাব এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। আহতরা হলেন, পত্রিকা হকার ফারুক (৩৪) ও তার পিতা হযরত আলী (৬৫),তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী শাহিদা আক্তার (৩২), বড় ভাই মোহাম্মদ আলী (৩৮)। বর্তমানে আহতরা রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ ও ভুক্তভোগীসূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার হাটাব এলাকার হযরত আলীর বসত বাড়িতে ধারালো চাপাতি,রামদা, চাইনিজ কুড়াল, ছুরি,লোহার রড,কাঠ, লাঠি-সোটা ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রে-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে বসতঘরের দরজা,জানালা ভাংচুর করতে থাকে সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীরা হলেন, একই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে আব্দুর রহমান (৩৫), মৃত আব্দুল হেকিমের ছেলে মকবুল (৫০), মকবুলের ছেলে রনি (২৮), বেলায়েতের ছেলে ইউনুছ (৩৬),সোলেমান (৪০), নুর ইসলামের মেয়ে শাহানারা (৪৫),আব্দুর রহমানের মেয়ে সনিয়া (২৮), হাটাব টেকপাড়া এলাকার সিরাজের ছেলে শামীম(৩০)সহ অজ্ঞাত আরো ২০/২৫জন।
সন্ত্রাসীদের তা-বে ঘুম থেকে জাগ্রত হয় পরিবারের সদস্যরা। হযরত আলী সন্ত্রাসীদের ভাংচুর করতে বাঁধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। হযরত আলীকে বাঁচাতে তার দুই ছেলে ও পুত্র বধু এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে তাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় উদ্ধার হয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। এ বিষয়ে হযরত আলীর ছোট ছেলে পিয়ার আলী (৩০) রূপগঞ্জ থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।