নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সংবাদ প্রকাশের জেরে সোহেল কিরণ (৩৩) নামের এক সাংবাদিককে কলি বাহিনীর সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। মঙ্গলবার (০৪ এপ্রিল) রাত পৌনে ১০ টার দিকে উপজেলার কাঞ্চন বাজার এলাকায় এই ঘটনা।
সোহেল কিরণকে মুমূর্ষ অবস্থায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভর্তি করা হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভুলতা আল রাফি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সোহেল কিরণ উপজেলার কাঞ্চন এলাকার আব্দুল হান্নান ছেলে। সোহেল কিরণ বাংলা টেলিভিশনের রূপগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
সোহেল কিরনের ভাই সাহেল মাহমুদ জানান, সোহেল কিরণ তার বন্ধু সাইফুল ইসলামকে নিয়ে মঙ্গলবার তারাবি নামাজের পর রাত পৌনে দশটার দিকে কাঞ্চন বাজারে একটি দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন । এ সময় কলি বাহিনীর সন্ত্রাসী আফজালসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী মিলে সোহেল কিরণ ও তার বন্ধু সাইফুল ইসলামের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় সাইফুল ইসলামকে এলোপাথারিভাবে পেটাতে থাকে। এ সময় সোহেল কিরণ ওই সন্ত্রাসীদের বাধা দেয়। এক পর্যায়ে সোহেল কিরণকে সন্ত্রাসী আফজালসহ হামলাকারীরা চর থাপ্পর মারতে থাকে। পরে আফজালের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে সোহেল কিরণকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পালিয়ে যায়।
সাহেল মাহমুদ আরো জানান, আফজালসহ কলি বাহিনী সন্ত্রাসীরা এলাকায় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, জমি দখল থেকে শুরু করে নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড ঘটিয়ে আসছে। আর আফজালসহ কলি বাহিনীর সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বাংলা টিভিতে একাধিকবার সংবাদ পরিবেশন করেছেন। আর ওই সংবাদ পরিবেশন কে কেন্দ্র করেই তার ভাই সোহেল কিরণকে ওই সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়।
রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি লায়ন মীর আব্দুল আলিম বলেন, সাংবাদিকের উপর হামলাকারীদের কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও উপযুক্ত বিচার না হলে সাংবাদিক সমাজের পক্ষ থেকে ঢাকা সিলেট মহাসড়ক অবরোধসহ বৃহৎ আন্দোলন ঘোষণা দেওয়া হবে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, কলি বাহিনীর সন্ত্রাসী আফজালসহ হামলাকারীদের গ্রেফতারে পুলিশ মাঠে নেমেছে। যেকোনো মূল্যে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।