রূপগঞ্জ বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশে বর্তমানে করোনা ভাইরাস এর ২য় ডেউ চলছে । প্রতিদিনই অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। হুরহুর করে বাড়ছে সনাক্ত ও মৃত্যুর হার। সেই সাথে মানুষের করোনার নমুনা সংগ্রহ এর চাপ ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পকেট গরম করছে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কিছু কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানায় আমি গতকাল ফোন দিয়ে আমার সিরিয়াল কনফার্ম করি কিন্তু আজকে এসে দেখি আমার নাম নেই। অথচ অনেকেই ঘুস দিয়ে সিরিয়াল ছাড়াই নমুনা দিয়ে যাচ্ছে।
তাঁর মতো অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন করোনা পরীক্ষার জন্য এসে ফিরে যাচ্ছেন।
নমুনা দিতে আসা আরেক জন জানায় আমার স্ত্রী খুব অসুস্থ চিকিৎসক জানায় করোনা ভাইরাস এর পরিক্ষা করাতে সেইদিন ই সিরিয়াল দিয়ে আমি পরের দিন নিয়ে যাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে ১ ঘন্টার বেশি সময় অপেক্ষা করার করার পর ভিতরে গিয়ে দেখতে পাই ১০০ টাকা ঘুষ এর বিনিময়ে অনেকের নমুনা আগেই সংগ্রহ করা হচ্ছে। তারপর সেখানে থাকা কামরূল নামক একজন কে বল্লাম আমার স্ত্রী অনেক অসুস্থ আপানারা এখনো নমুনা সংগ্রহ এর নিধারিত স্থানে আসছেন না কেনো তৎক্ষনাৎ তাড়া আমার সাথে খারাপ আচরন শুরু করে বলেন যান আসতেছি আমাদের কাজ আমাদের করতে দেন।
সেই অভিযোগ সূত্রে সরজমিন এ গিয়ে দেখা যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রবেশ মুখে নমুনা সংগ্রহ এর জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে যার ফলে সাধারণ রোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসতে ভয় পাচ্ছে। ফলে চরম ভোগান্তির মধ্যে পরতে হচ্ছে রোগীদের।
এছাড়াও নমুনা সংগ্রহ এর দায়িত্বে থাকা আলমগীর ও কামরুল নামে দুই কর্মকর্তা ঘুস এর বিনিময়ে সিরিয়াল ভেঙে নমুনা সংগ্রহ করছে তাদের অফিস রূমে । অথচ নমুনা সংগ্রহ এর নিধারিত স্থানে রোদ এর মধ্যে বসে আছে অর্ধশতাধিক বয়স্ক সহ নানা বয়সের মানুষ। নমুনা সংগ্রহ করার কথা দুপুর ১২.৩০ মিনিটে থাকলে ও তারা তাদের অফিসের কার্যক্রম শেষ করে নমুনা সংগ্রহ এর নিধারিত স্থানে আসে বেলা ১.৩০ মিনিট এ।
যেখানে প্রতিদিন ৫০ জন এর নমুনা সংগ্রহ করার কথা সেখানে ৬০ থেকে ৬৫ জন এর নমুনা সংগ্রহ এর লিষ্ট করা হচ্ছে। তারপর ও বাদ যাচ্ছে অনেকে।
এক ভুক্তভোগী জানায় বুকব্যথা ও শ্বাসকষ্ট রোগে ভুগছিলেন। দু-তিন দিনেও সুস্থ না হওয়ায় চিকিৎসকের কাছে যান তিনি। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে করোনা পরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া হয়। আগের দিন ফোন এ সিরিয়াল দিয়েও সেখানে গিয়ে পরীক্ষার নমুনা দিতে পারেননি। উল্টো হয়রানির শিকার হয়েছেন। প্রায় দুই ঘণ্টা হাসপাতালে ঘুরে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে বাড়ি ফিরে যান তিনি। তাঁর মতো অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন করোনা পরীক্ষার জন্য এসে ফিরে যাচ্ছেন।