নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কিছুটা থমথমে পরিবেশে চলছে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতীক নিয়ে আবু হোসেন ভুইয়া রানুর প্রচারনা। প্রভাবশালী প্রার্থীর বিপরিতে থাকায় তার কর্মী সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ করেছেন তিনি। তবে আগামী ২১ মে ভোট গ্রহণকে ঘিরে উপজেলার ৭ টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার গ্রামে গ্রামে ও স্থানীয় হাটবাজারে ভোটারদের মন জয় করতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন রানু ভুইয়া। নির্বাচিত হলে উপজেলাকে মডেল ও স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে বেকারত্ব দূর, মাদক নির্মূল, সন্ত্রাস প্রতিরোধে কাজ করতে চান তিনি। তিনি দাবী করেন, ভোট গ্রহণ সুষ্ঠু হলে এবং ভোটাররা তাদের ভোট প্রভাবমুক্তভাবে দিতে পারলে বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করবেন।
আবু হোসেন ভুইয়া রানু বলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে আমি সম্মানিত ভোটারদের প্রতি আস্থা রাখি। রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ রাজধানী লগোয়া হওয়ায় এখানে ব্যাপক নাগরিক সুবিধা প্রয়োজন। ভৌগোলিকভাবে সম্ভাবনাময় শিল্পনগরীর এ অঞ্চলে বেকারত্ব থাকা মেনে নেয়া যায় না। বেকারত্ব দূর হলে এখানে মাদক থাকবে না। অভিভাবকরা তাদের সন্তানের দিকে খেয়াল রাখলে কিশোরগ্যাংও থাকবে না। সর্বশ্রেণী পেশার লোকজনের সমন্বয়ে আমরা সবাই মিলে ভালো থাকতে চাই।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রমতে এ উপজেলায় আনারস প্রতীক নিয়ে আবু হোসেন ভুইয়া রানুর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন হাবিবুর রহমান হাবিব।
অন্যদিকে এ উপজেলাটিতে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসী আক্তার রিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বেসরকারিভাবে তারা বিজয়ী হয়েছেন। ফলে এ উপজেলায় নির্বাচনী উৎসব নেই বললেই চলে।
ভোটাদের মাঝে অনেকের দাবী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের কাছে তাদের সরাসরি যেতে হয় না খুব একটা। তারা কিছু হলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের কাছে যান। তাই উপজেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে তাদের আগ্রহ নেই।
তবে সচেতন ভোটারদের দাবী, রূপগঞ্জ উপজেলায় সৎ,শিক্ষিত, আদর্শের দিক থেকে ভালো প্রার্থী বিজয়ী হলে নাগরিকরা জনসেবা পেয়ে তৃপ্ত হবে। অন্যথায় দূর্ণীতি,অসদাচরণ ও প্রভাবের কারনে সরকারি সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত হবেন।