লিখন রাজ, নিজস্ব প্রতিবেদক:গত ১৩ অক্টোবর ভোরে শারদীয় দুর্গাপূজার মহা অষ্টমীর দিন কুমিল্লা শহরের নানুয়া দীঘির উত্তর পাড়ে একটি অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ দেখা যায়। এরপর কোরআন শরিফ অবমাননার অভিযোগ তুলে ওই মণ্ডপে হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত। এ সময় সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়।
এ ঘটনার জের ধরে ওই দিন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে হিন্দুদের ওপর হামলা করতে যাওয়া একদল ব্যক্তির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সেখানে নিহত হন চারজন।
পরদিন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হিন্দুদের মন্দির, মণ্ডপ ও দোকানপাটে হামলা–ভাঙচুর চালানো হয়। সেখানে হামলায় দুজন নিহত হন। এরপর রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দু বসতিতে হামলা করে ভাঙচুর, লুটপাট ও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। দেশের আরও অনেক এলাকায় হিন্দুদের মন্দির, মণ্ডপসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালানো হয়।
এদিকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দায়ী ব্যক্তি ইকবাল হোসেনকে শনাক্ত করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাত দশটার দিকে কক্সবাজার ও কুমিল্লার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মো. ইকবাল হোসেন নামের একজনকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকা থেকে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাত সোয়া এগারোটার দিকে কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, রাতে সৈকত এলাকা থেকে ইকবাল হোসেন নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। আমরা ধারণা করছি, এই ইকবাল কুমিল্লার ঘটনার সেই ইকবাল।
তবে আমরা শতভাগ নিশ্চিত নই। কুমিল্লা জেলা পুলিশ পরিচয় যাচাই-বাছাই করে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা উপ-কমিটির সদস্য আবুল ফজল রাজু বলেন,ধর্মপরায়ন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক স্বাধীনভাবে তার ধর্ম পালন করবে এটাই আমাদের কাম্য, ধর্ম-অন্ধ অন্ধ-ধর্ম পরান হওয়া উত্তম, এ বিষয়ে রাষ্ট্রের জনগণকে আরো সচেতন করে গড়ে তোলার জন্য রাষ্ট্রের নিকট আবেদন করছি,তিনি আরো বলেন কুমিল্লার ঘটনায় ইকবালকে যারা পাগল বলছে তারাই সাঈদীকে চাঁদে দেখেছে।